একাধিক দাম কমছে ডলারের |বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংক ও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া মার্কিন ডলারের দামে এখন বড় ব্যবধান রয়েছে। সে জন্য কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম আটকে রাখার পাশাপাশি বিনিময় হারের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এটাকেই বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ওপর সম্প্রতি প্রকাশিত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ডলার-সংকট সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ঐতিহাসিকভাবে ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের ব্যবধান ছিল ২ শতাংশের মতো। তবে ২০২২ সালের আগস্টে এই ব্যবধান ১২ শতাংশে পৌঁছে যায়। এখন এই ব্যবধান কার্যত ১৮ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার পর ডলারের দাম স্থিতিশীল হলেও দামের পার্থক্য খুব বেশি।ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের এই ব্যবধানের কারণে প্রবাসী আয় কমছে, ফলে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। সে জন্য ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দরের ব্যবধান না কমলে প্রবাসী আয় বাড়বে না। এতে ডলার-সংকটও কাটবে না বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।