পুলিশ সেজে রাজধানীতে চাঁদাবাজি করতেন তাঁরা | পুলিশ কর্মকর্তা সেজে একটি বেকারিতে চাঁদাবাজি করতে যাওয়া আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণ পীরেরবাগের ওই বেকারিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আবদুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ ওরফে পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) ও মো. রাহাদ (২৮)।পুলিশ বলেছে, আটক ব্যক্তিরা নিজেদের পুলিশ ও পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার পুলিশ জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বল্লা শাহীন তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামের প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা প্রথমে নিজেদের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বেকারির মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকার বলেন। এ নিয়ে তাঁরা বেকারির মালিকপক্ষকে সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতিও দেখান। একপর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও প্রতারকেরা দোকানের কর্মচারীদের গালিগালাজ করেন। এ সময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে জানালে পুলিশ বল্লা শাহীন ও তাঁর পুরো দলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন তাঁর চার সহযোগীকে আদালতের অনুমতিতে আজ শনিবার এক দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি তিনজনের শুনানি শেষে আদালতে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই পেশাদার অপরাধী। চক্রের হোতা বল্লা শাহীন ২০১৯ সালে মিরপুরে আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তাঁরা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেছিলেন। ওই ঘটনায়ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।