সহিদুল শিবচরে বসে ৩৫০ কর্মী নিয়ে বিদেশের কাজ করেন |মাদারীপুরের শিবচরে তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ঢুকতেই চোখে পড়ে সাজানো গোছানো কার্যালয়। এটি সিএম ওয়ার্ক সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সহিদুল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তির আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন। তাঁর গ্রাহকদের সবাই বিদেশি। ৩৩ বছর বয়সী সহিদুলের একসময় নিজের একটা বাইসাইকেলের শখও পূরণ হয়নি। অথচ নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানে এখন ৩৫০ জন কর্মী। সম্প্রতি শিবচরে গিয়ে কথা হয় সহিদুলের সঙ্গে। তিনি জানান তাঁর জীবনের কথা।বয়স তখন কতই বা হবে ১২ কি ১৩ বছর। বন্ধুরা বাইসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত সহিদুল তখন তাকিয়ে দেখত। কৃষিজীবী বাবার সামর্থ্য ছিল না একটি বাইসাইকেল কিনে দেওয়ার। সহিদুল মনে মনে
ভাবত একদিন আমি নিজের গাড়িই চালাব।সহিদুল বলেন নিজস্ব ভবনে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি গাড়িও কিনেছি।শিবচরের পাশাপাশি সহিদুলের নিজের কার্যালয় রয়েছে ঢাকায়। সপ্তাহে এক দিন আসেন ঢাকায়।কাজের সুবিধার জন্য শিবচরে বসবাস করলেও সহিদুল ইসলামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনের চরে। কৃষক বাবা আনোয়ার হোসেন চোকদারের কৃষিপণ্যের ক্ষুদ্র ব্যবসা ছিল। আনোয়ার হোসেনের চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সহিদুল। জন্ম ১৯৯০ সালে। জাজিরা মহর আলি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন ২০০৬ সালে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ঢাকায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে। এরপর রাজধানীর ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তিন সেমিস্টারের বেশি পড়াশোনা চালাতে পারেননি।