সিপিডি সংকট মোকাবিলার স্বীকৃতি ও সমাধানের উদ্যোগ অপ্রতুল |আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার স্বীকৃতি ও সমাধানের উদ্যোগ অপ্রতুল বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়গুলোও বাজেটে পরিষ্কার করা হয়নি বলে জানিয়েছে সিপিডি। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করে সিপিডি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন এই বাজেট এমন সময়ে দেওয়া হয়েছে যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ঋণ নিয়েছে সরকার। বাজেট বক্তৃতায় তিনবার আইএমএফের নাম বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের শর্তের ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু বাজেটে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে আইএমএফের শর্ত পরিপালনের কিছুটা ইঙ্গিত রয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঘোষিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধানের উদ্যোগ অপ্রতুল।
বাজেটে তিনটি বার্তা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক যেসব সূচকের ভিত্তিতে বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবতা বিবর্জিত। জিডিপির প্রবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি প্রবাসী আয়ের যে প্রাক্কলন করা হয়েছে সেগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়। আবার অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়েও পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি বাজেটে। মূল্যস্ফীতির চাপ বা পণ্যের দামের লাগাম টানার জন্য যেসব প্রস্তাব বা সমাধানের কথা বলা হয়েছে তাও বাস্তবভিত্তিক নয়। সরকার মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ করার উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর উদ্যোগটি ভালো। তবে রিটার্ন জমা দিলে দুই হাজার টাকা ন্যূনতম করের বিধানটি প্রত্যাহার করা উচিত।