হারিকেনের আলোয় চিকিৎসাসেবা অর্ধশতাধিক বছর ধরে

হারিকেনের আলোয় চিকিৎসাসেবা অর্ধশতাধিক বছর ধরে |

হারিকেনের আলোয় চিকিৎসাসেবা অর্ধশতাধিক বছর ধরে |হারিকেন গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। শৈশব জীবনে বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের আলোর চাহিদা মিটানো বা অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল হারিকেন। সময়ের ব্যবধানে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই হারিকেন আজ বিলুপ্তির পথে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে আশ্চার্য এক প্রতীক হারিকেন। বর্তমান ডিজিটাল যুগের সকল অত্যাধুনিক আবিষ্কারকে তোয়াক্কা না করে সেই পুরনো দিনের সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন পল্লী চিকিৎসক আবদুল মান্নান ৭০।হারিকেন জ্বালিয়ে অর্ধ শতাধিক বছর ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। আবদুল মান্নান মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় তিনি মান্নান ডাক্তার নামে পরিচিত। মেঘ বৃষ্টি ঝড় তুফানেও তিনি হারিকেন জ্বালিয়ে পল্লী এলাকার মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। চিকিৎসায় হাতের যশ ভালো হওয়ায় তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় বলে স্থানীয়রা জানান।

পল্লী চিকিৎসক আবদুল মান্নান বলেন আমি পুরাতন মানুষ। রোগী দেখি পুরাতন পদ্ধতিতে যা আমার ওস্তাদ শ্বশুর কালা মিয়া ডাক্তার শিখিয়েছেন। বর্তমানে আধুনিকতার নামে টেষ্ট করানো আর সিজারের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে যে পরিমান টাকা আদায় করা হয় আমি সেসব কাজকে ঘৃণা করি। তেমনি বিদ্যুৎ আর সোলারের প্রতিও আমার বিশ্বাস নেই। কারণ এগুলো কখন যায় আর কখন আসে তার কোন গ্যারান্টি নাই। আমার হারিকেনের গ্যারান্টি আছে। একবার তেল ঢুকালে ২ রাত জ্বলবে নিশ্চিত। আর এটি জ্বালালে আলো চলে যাবার সম্ভনা নাই বললেই চলে। তাইতো হারিকেনের প্রতিই আমার ১০০ ভাগ আস্থা রয়েছে।পল্লী চিকিৎসক আবদুল মান্নানের পুরাতন ঐতিহ্যটি ধরে রাখার প্রশংসা করেন স্থানীয়রা।

Spread the love